বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর ২০২২ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠাকুরগাঁওয়ের আবেদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ১৪ নভেম্বর

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ১৩, ২০২২ ২:১৬ অপরাহ্ণ

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপহরণ, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর আবেদ হোসেনের (৬৫) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা উপস্থাপন শেষ করা হয়েছে। এর পরে এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) জবানবন্দি পেশ করার কথা রয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে জানান, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে এ মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট শেষ করা হয়। ওই দিন আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আসামি আবেদন হোসেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মে থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার বোবড়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে আবেদ হোসেন (৬৫)। তাকে ২০১৯ সালের ২৫ জুন গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এখন বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন বলেও জানা গেছে।

আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপহরণ, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগগুলো হলো:
প্রথম অভিযোগে বলা হয়— একাত্তরে মে মাসের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন আধারিদিঘীর পাড়ে পাকিস্তান আর্মি ও তাদের দোসর স্থানীয় রাজাকার আবেদ হোসেনসহ অন্য রাজাকাররা আধারদিঘীর পাশ্ববর্তী বোবড়া ও অন্য গ্রাম থেকে সাতজন নিরীহ লোককে আটক করে জোরপূর্বক ব্যাংকার তৈরির কাজে শ্রমসাধ্য মাটি খননের কাজ করায়। ব্যাংকার তৈরির কাজে যেতে না চাইলে তখন আসামি আবেদ হোসেন ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক কাজে যেতে বাধ্য করতো।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়— একাত্তর সালে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি আর্মি ও রাজাকারদের অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ খবর দিয়ে সহায়তা করার কারণে পবেদ আলী, দুমপেল ও মজনুকে ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে গুলি করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় পবেদ আলী হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়— আহত পবেদ আলীকে আবার ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়। পরে পবেদ আলীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে তদন্ত শুরু হয়। আসামির রাজনৈতিক পরিচয়ে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত