জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে ইসি কী করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আগাম কিছু বলতে পারছি না। আর এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন। এখানে নির্বাচকমণ্ডলী ভোট দেবেন।’
সিইসি বলেন, ‘সিসিটিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এর আগে দুটি করেছি। আর এটা নিঃসন্দেহে একটা অগ্রগতি, ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তা আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ।’
জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভির ব্যবহারসংক্রান্ত প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সিসিটিভি স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলছি। জাতীয় নির্বাচনে ৪২ হাজার কেন্দ্র ও ৪ লাখ বুথ থাকে। সেটা মনিটর করা সম্ভব। এটা আমাদের অনেক বড় আকারে করতে হবে। অনেক লোক নিয়োগ দিতে হবে। তখন মনিটরে আমরা পাঁচজন নয়, আরও অনেক লোক থাকবে। আমাদের সচিবালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা সবাই মিলে মনিটর করবেন।’
সামলাতে না পেরে কঠোর হলো ইসি
মো. আলমগীর বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের সব কেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মতো একইভাবে ভোট মনিটর করা হবে।
১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচন ছিল। এদিন সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই অনিয়মের কারণে একের পর এক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে থাকে ইসি। দুপুর নাগাদ এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে বেলা আড়াইটার দিকে পুরো ভোট গ্রহণই বন্ধ ঘোষণা করে ইসি।