লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মহিলা সংরক্ষিত) পদে মাহেনারা পারভিন একটি ভোটও পাননি। সোমবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ফলাফলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মাহেনারা পারভিন টেলিফোন প্রতীক নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মাহেনারা পারভিন রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও লামচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেলেও নির্বাচনে প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
তবে তার এক স্বজন জানান, তিনি দলীয় নেতাদের সহযোগিতা না পেয়ে এই জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করেননি। তার স্বামী মরহুম মোহাম্মদ উল্যা পাটোয়ারী করোনার সময় মারা যাওয়ায় উপনির্বাচনে মাহেনারা বেগম ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা থেকে ৫ জন সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ছিলেন ১৪৭ জন। ১৪৬ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীকে তাহমিনা আক্তার পেয়েছেন ৮৩ ভোট ও ফুটবল প্রতীকের মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৪৪ ভোট। বাকি দুইজন ১৩ ও ৬ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টেলিফোন প্রতীকের রামগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহেনারা পারভিন এক ভোটও পাননি।
তবে এ ব্যাপারে মাহেনারা পারভিনের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সাল হোসেন জানান, সদস্য (মহিলা) পদে টেলিফোন প্রতীকের মাহেনারা পারভিন রায়পুর ও রামগঞ্জে একটি ভোটও পাননি। বাকি দুই প্রার্থী ১৩ ও ৬ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থী ৮৩ ভোট পেয়েছেন।