আর ‘একলা চলো রে’ নীতি নয়। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে কেনার বদলে সম্মিলিতভাবে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৭ সদস্যের এই জোট। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে ইইউ’র হাতে। খবর ডয়েচে ভেলের।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঊর্দ্ধসীমা স্থির করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা৷ ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ও তর্কবিতর্কের পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এবার সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি মন্ত্রীদের সঙ্গে মিলে প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া প্রস্তুত করবে কমিশন৷
I welcome the results of today’s EUCO and the endorsement we received from leaders.
They gave strategic guidance on the energy package – from joint purchasing to investments ↓ https://t.co/wZpULwR4AU
— Ursula von der Leyen (@vonderleyen) October 21, 2022
এর পাশাপাশি ইইউ আরও একটি জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক গ্যাসের বাজারে সদস্য দেশগুলোর পক্ষে এককভাবে দরকষাকষি করে সুবিধাজনক মূল্য স্থির করা কঠিন হয়ে উঠছে৷ তাই এবার যৌথভাবে গ্যাস কেনার পথে এগোবে ইইউ৷
তবে সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ধার্য গ্যাসের ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি খতিয়ে দেখা হবে৷ সেই সঙ্গে, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে মূল্যের নতুন কাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইইউ নেতারা৷
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, সম্মিলিতভাবে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত সহজে কার্যকর করা গেলেও গ্যাসের দাম যেন ঊর্দ্ধসীমা না স্পর্শ করে, তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে৷
প্রায় ১০ ঘণ্টা তর্ক-বিতর্কের পর এমন ঐকমত্যের ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইইউ নেতারা৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, বর্তমান জ্বালানি সংকট সম্পর্কে যাবতীয় মতভেদ দূর করে শীর্ষ নেতারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন৷
গ্যাসের মূল্য কমলে সরবরাহে ঘাটতি ও গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিল জার্মানি৷ তবে বাকিদের চাপে শলৎস সেই প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন৷ কিন্তু গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেণ তিনি।
ইইউ জ্বালানি মন্ত্রীরা বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করে শলৎস বলেন, প্রয়োজনে তারা আবার আলোচনায় বসবেন৷