ইউক্রেনে ড্রোন হামলার আগে রাশিয়ার অধিভুক্ত করে নেওয়া ক্রিমিয়ায় সামরিক বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছিল ইরান। এক অভিযোগে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। এ প্রসঙ্গে মার্কিন এক মুখপাত্র জানান, প্রশিক্ষক এবং প্রযুক্তি কর্মী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে ইরানিরা।
গত সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আঘাত হানে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ড্রোন।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার ছোঁড়া ওই ড্রোনগুলো ইরানের তৈরি। যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহে জড়িত সন্দেহে কয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন হলো, ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা ক্রিমিয়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং রাশিয়াকে ড্রোন হামলাতে সহায়তা করেছেন। ’
কারবি আরো বলেন, ‘তেহরান এখন অস্ত্রের মাধ্যমে রণাঙ্গনে প্রত্যক্ষভাবে জড়াচ্ছে, যা ইউক্রেনের নাগরিক এবং সরকারি স্থাপনার ওপর প্রভাব ফেলছে। ’ ইউক্রেনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইরানের এই কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ‘যে করেই হোক ফাঁস এবং প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করবে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার ছোড়া ড্রোনগুলোকে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউক্রেন।
বাঁধে বিস্ফোরক বসানোর অভিযোগ
এদিকে, মস্কোর বিরুদ্ধে দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি জলবিদ্যুেকন্দ্রের বাঁধে বিস্ফোরক বসানোর অভিযোগ এনেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, কাখোভকা নামে ওই জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৮০টি নগর এবং ছোট শহর তলিয়ে যাবে। এছাড়া জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রকে ঠাণ্ডা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা অবশিষ্ট থাকবে না। বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্রিমিয়াসহ গোটা দক্ষিণ ইউক্রেনে পানির অভাবও দেখা দেবে।
গত বুধবার প্রায় একই তথ্য দিয়েছে পশ্চিমা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মস্কো ওই বাঁধে আক্রমণ চালিয়ে পরে সে ঘটনার দায় ইউক্রেনের কাঁধে চাপাতে পারে। এ আক্রমণের ফলে যে পানির ঢল নামবে, তা খেরসনের কিছু অঞ্চলে পিছু হটতে থাকা রাশিয়ার বাহিনীর জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করবে। বাঁধটি খেরসনের ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বলে জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি