পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় আব্দুল খালেক হাওলাদার (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাগনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভাগনে মজিরুল আকনকে (৪৪) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালেক বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পশু চিকিৎসক ছিলেন। অভিযুক্ত ভাগ্নে মজিরুল আকন উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আ. সত্তার আকনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে খালেক হাওলাদারকে এলজিইডি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে যান ভাগনে মজিরুল। এরপর দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের বারী ফকিরের বাড়ির পাশের নালায় ফেলে তাকে চুবিয়ে হত্যা করেন মজিরুল। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে ওই নালা থেকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বজিৎ রায় জাগো নিউজকে বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী জোছনা বেগম বলেন, ‘মজিরুল পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে কি যেন করছিল। এ সময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তার মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেছে সেটা খুঁজছে।’
নিহতের ছেলে কামাল হাওলাদার বলেন, ‘মজিরুল ১০ বছর আগে বাবাকে মারধর করেছিল। এরপর বাবা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। এছাড়া তার সঙ্গে আমাদের আর কোনো বিরোধ ছিল না। রোববার সকালে বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে মজিরুল। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাগনে মজিরুলকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।