বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৫৭ জন টোরি এমপির মধ্যে ২১৫ জন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা আসন্ন নির্বাচনে কাকে সমর্থন দেবেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ ১৩৬ জন এমপির সমর্থন নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ঋষি সুনাক। এদিকে বরিস জনসনের পক্ষে ৫৬ এবং মরডান্টকে সমর্থন দিয়েছেন ২৩ এমপি।
টোরি পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন ঋষি সুনাক। আজ রোববার তিনি এ কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, তাঁকে দলনেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হলে তিনি সততা, পেশাদারি ও জবাবদিহির মাধ্যমে চলমান গভীর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করবেন।
বরিস জনসনের পক্ষ থেকে নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে তাঁর একাধিক সমর্থক এমপি বলেছেন, জনসন লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ব্যবসাবিষয়ক মন্ত্রী জ্যাকব রিস-মগ বলেছেন, জনসনের পক্ষে ১০০ এমপির সমর্থন রয়েছে। তিনি অবশ্যই এই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দেড় মাসের মাথায় লিজ ট্রাসের পদত্যাগ
পেনি মরডান্ট জনসনকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সুনাক ও জনসনের মতো সমর্থন না থাকলেও লড়াইয়ে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পেনি মরডান্ট। তিনি বলেছেন, ‘সার্বিক উন্নতি দেখে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমি লড়াই করব জেতার জন্য।’
এদিকে বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরা বরিস জনসন গতকাল শনিবার ঋষি সুনাকের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। জনসনের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনাক। তাঁর পদত্যাগের পরেই জনসনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। ঋষি সুনাকের পর বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এতে জনসনও পদত্যাগে বাধ্য হন।
ট্রাসের পর যুক্তরাজ্যের হাল ধরবেন কে
সরকারের অর্থনৈতিক নীতি ও কর্মসূচি নিয়ে নজিরবিহীন সমালোচনার মুখে ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেন। তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কেউ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাসে লিজ ট্রাসই ক্ষণস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী। জনসনের পরে তিনি মাত্র ৪৫ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।