ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এর মধ্য পুরান ঢাকার অলি-গলিতে জমেছে হাঁটু সমান পানি। এতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। তাদের দোকানে ঢুকে গেছে পানি। ভিজে গেছে পণ্য।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে পুরান ঢাকার চাঁনখারপুল, নাজিমুদ্দিন রোড, নিমতলী, আগামাছি লেন ও বকশীবাজার এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, সড়কে জমে রয়েছে পানি। এতে করে অফিসগামী এবং কর্মজীবী মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। এলাকার বাসিন্দারাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না প্রয়োজন ছাড়া।
নিমতলীর বাসিন্দা জহির জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল রাত থেকে হাঁটু পানি ছিল রাস্তায়, সকালেও সব পানি নামে নাই। বাসা থেকে বের হতে পারছি না।
নাজিমুদ্দিন রোডের আরেক বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, বাসা থেকে বের হয়েই দেখি হাঁটু পানি। এই পানি ভেঙেই আসতে হচ্ছে। হালকা বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় আর আমাদের দুর্ভোগ শুরু হয়।
এদিকে অনেকে রিকশায় করে মূল সড়কে আসেন। এ সুযোগে রিকশাচালকরা হাঁকাচ্ছেন বেশি ভাড়া। রায়হান নামের এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, পথে পানি থাকায় রিকশায় উঠতে হয়েছে। ২০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ৪০ টাকা।
নিমতলী এলাকায় বস্তার ব্যবসা করেন মোহাম্মদ বোরহান নাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সকালে এসেই দেখি দোকানের ভেতরে পানি। আমার দোকানের অনেক বস্তা ভিজে গেছে, এগুলো সরিয়ে পানিগুলো বেলচা দিয়ে আধাঘণ্টায় বের করছি। এখন বস্তাগুলো আবার শুকিয়ে বিক্রি করতে হবে।
রাকাতুল্লাহ নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তা থেকে বৃষ্টির পানি দোকানের ভেতর প্রবেশ করেছে। সকালে এসে এগুলো পরিষ্কার করে এখন দোকান চালু করতে হবে।
এদিকে গতকাল থেকেই পানি প্রবেশ করতে থাকে বেশ কয়েকটি দোকানে। আজও সরেনি সেই পানি। ড্রেনের পানি বেশি থাকায় এসব পানি সরছে না বলে জানান দোকানিরা।
নাজিমুদ্দিন রোডের স্মৃতি বেডিংয়ের ম্যানেজার মহিউদ্দিন বলেন, দোকানের ফ্লোরে থাকা সব জিনিস প্রায় দুই ফুট ওপরে তুলে রেখেছিলাম, যেন রাতে বৃষ্টি হলেও এগুলো ভিজে না যায়। ড্রেনের পানি কমে নাই এখনো। তাই দোকানের পানিও সরছে না। পুরা দোকানেই পানি। এগুলো কখন পরিষ্কার করবো আর কখন দোকান চলবে জানি না। পানি না নামলে আমাদের এই পানি যাবে কোথায়।
মক্কা বিরিয়ানি হাউজের মো. রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল থেকেই পানি ঢুকেছে। কাস্টমার নেই খাবার বিক্রি হবে কীভাবে। কাস্টমাররা দোকানে বসতে পারছে না। বিক্রি কম, আবার যা বিক্রি করছি তার অধিকাংশই পার্সেল।