যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রথম ফোন করেছেন ঋষি সুনাক। ইউক্রেনের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থনও ব্যক্ত করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ঋষি সুনাক প্রথম যে বিদেশি নেতাকে ফোন করেন তিনি হলেন ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
ঋষি সুনাকের এক নারী মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন তার প্রধানমন্ত্রীত্বের অধীনেও বরাবরের মতো শক্তিশালী থাকবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেন’।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ফোন করেন এবং অভিনন্দন জানান। দুই নেতার মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং চীনকে ঘিরে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করা নিয়েও কথা হয়েছে।
ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ এবং প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। দুই মাস আগে নির্বাচনে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান তিনি। ছয় সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর লিজ ট্রাস গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর সুনাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আট মাস। এখন পর্যন্ত তীব্র লড়াই চলছে দেশ দুটির মধ্যে। রুশ হামলা ঠেকাতে দফায় দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির যেন শনির দশা। অর্থনৈতিক গোলযোগের কারণে ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। আর তারই স্থলাভিষিক্ত এখন ঋষি সুনাক। খোদ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কতটা সক্ষম হবেন ঋষি সুনাক সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, এএফপি, এনডিটিভি