ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালে ৫০ বেডের ডেঙ্গু আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর পরও জায়গা হচ্ছে না রোগীদের। ফলে অনেক রোগীকে বারান্দায় মশারি টানিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। জানা যায় ৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ, ১০ নারী ও দুই শিশু।
মুক্তাগাছার হাসেন আলীর মেয়ে শরীফা আক্তার (২৪)। তিনি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে সোনারগাঁও ইউনিভারসিটিতে লেখাপড়া করেন। ২২ অক্টোবর শরীর ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা অনুভব করেন তিনি।
শরীফা বলেন, ‘ঢাকায় ২৩ অক্টোবর পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। ওইদিনই বাড়ি এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। আগের চেয়ে এখন কিছুটা ভালো আছি।’
মোস্তাফিজুর রহমান জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বৃহস্পতিবার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ওঠে তার। সঙ্গে মাথা ব্যথা, বমি ও শরীরের চামড়ায়ও ব্যথা অনুভব করেন। পরদিন শুক্রবার নিজের বাড়িতে এসে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। পরে মমেক হাসপাতালে ভর্তি হন নুর।
১৪ বছর বয়সী সোলায়মান লেখাপড়া করতেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মাদরাসায়। তিনি ত্রিশালের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সোলায়মান জানায়, ‘গত সপ্তাহে মঙ্গলবার রাতে মাদরাসায় জ্বর হলে পরদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসি। পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছি।’
মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় ৫০ শয্যার ডেঙ্গু আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়। রোগীর চাপ বাড়লেও আমরা কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি না। সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যে কারণে রোগীকে বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে শয্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।