মেয়ে দেখাতে নিয়ে যুবক ও তার পরিবারকে আটক করে জোরপূর্বক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ের বাবা ও কাজীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় মেয়ের বাবা রফিক ডাক্তারের জিম্মিদশা থেকে যুবক রাসেল ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক মেয়ের বাবা রফিক ডাক্তার (রফিকুল ইসলাম) ও কাজী মিজানুর রহমানকে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আদালত উভয়কে জামিন দেন।
মেয়ের বাবা রফিক ডাক্তারের অভিযোগ, এ পর্যন্ত ৬ বার ছেলের পক্ষ মেয়ে দেখতে বাড়ি এসেছে। সর্বশেষ ফাইনাল করে শনিবার ছেলের মা, ভাই, ভাবিসহ ৯ জন আসে। বিয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বাড়িতে সবাইকে ধুমধামে খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শেষে ছেলে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এতে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও বাড়ির মানসম্মান নষ্ট হওয়ায় ছেলেকে বিয়ের জন্য রাখা হয়।
জানা গেছে, লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবীব মাস্টারের ছেলে রাসেলের বিয়ের জন্য তার স্বজনরা পাত্রী খুঁজতে থাকেন। রাসেল ও তার পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রফিক ডাক্তারের মেয়ে দেখার জন্য শনিবার বিকালে রাসেল ও তার স্বজনরা ঢাকা থেকে এসে ওই বাড়িতে যান। এ সময় মেয়ে দেখে জানতে পারে সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
রাসেল দাবি করেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ছেলে তিনি বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসতে চান; কিন্তু মেয়ের বাবা রফিক ডাক্তার ছেলে রাসেল ও তার স্বজনদের আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে না চাইলে মারপিট করে তাদের জিম্মি করে। ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে তার সহায়তায় রাতেই বিয়ের রেজিস্ট্রিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় মেয়ের বাবা।
একপর্যায়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ছেলের পরিবারকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ছেলে রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় মেয়ের বাবা ও কাজীকে।
এ ঘটনায় রাসেলের ভাবি মোসা. শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রফিক ডাক্তার, কাজীসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।