ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বড় শহরগুলোতে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এতে এসব স্থানে পানি ও বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব বলা হয়েছে।
কিয়েভে অন্তত দু’টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) মধ্য ভিন্নিতসিয়া অঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভে মিসাইল হামলার খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় একজন বিবিসিকে জানান, তাঁর বিভাগে এখন বিদ্যুৎ নেই। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত ইউক্রেনীয় টিভিকে বলেন, রাশিয়া তাদের কৌশলগত বোমারু বিমান ব্যবহার করে এ আক্রমণ করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ার্কমাক বলেন, রাশিয়ানরা শান্তিপূর্ণ বস্তুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রিমিয়ার কৃষ্ণসাগরে নৌবহরের ওপর ড্রোন আক্রমণের অভিযোগ তোলে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শনিবার (২৯ অক্টোবর) একটি ড্রোন হামলায় সেভাস্তোপোল শহরে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়া, ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা। তবে এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখায়নি মস্কো। ইউক্রেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ার এসব দাবি ভিত্তিহীন।
সূত্র-বিবিসি