রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে যাত্রার অনুমতি দেওয়ার চুক্তিটি স্থগিত করছে। তবে এটি বাতিল করা হয়নি।
ইউক্রেন তার নৌবহরে হামলার জন্য কৃষ্ণসাগরের একটি নিরাপত্তা করিডর ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে শনিবার জাতিসংঘের মধস্থতায় হওয়া ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো। জাতিসংঘ বলেছে, শনিবার ভোররাতে করিডরের ভেতরে রাশিয়ার কোনো জাহাজ ছিল না।
ইউক্রেন এ পর্যন্ত ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তারা চুক্তিটিতে তাদের ভূমিকা পালন করবেন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধা নিয়ে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করার’ অভিযোগ করেন। এ দাবি রাশিয়া অস্বীকার করেছে।
সমস্যার পরও তিন লাখ ৫৪ হাজার পাঁচ শ টন খাদশস্যসহ ১২টি জাহাজ সোমবার ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো ছেড়েছে বলে দেশটির অবকাঠামো মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ওডেসার সামরিক প্রশাসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শস্য চুক্তি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর তার নৌবাহিনী ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলোতে অবরোধ আরোপ করে। এতে রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত প্রায় দুই কোটি টন খাদশস্য, ভুট্টা এবং সূর্যমুখী তেল দেশটির ভেতরে আটকা পড়ে। জুলাই মাসে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়- যার মাধমে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলোর মাধ্যমে শস্য রপ্তানি আবার শুরু হয়েছিল। তবে ক্রিমিয়ার রুশ নৌবহরে ‘বিশাল’ ড্রোন হামলার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার বলেছেন, চুক্তিটি স্থগিত করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য তিনি কিয়েভকে দায়ী করেছেন।
সূত্র : বিবিসি।