গেল সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জার্মান ক্লাব আরবি লিপজিগের বিপক্ষে হার দিয়ে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর লিগের ম্যাচেও নিজেদের মাঠে জিরোনার বিপক্ষে খায় হোঁচট। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মাধ্যমেই আবার জয়ে ফিরেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
এ জয়ের মাধ্যমে ৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই তারা শেষ ষোলোতে পৌঁছালো রিয়াল। একই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে আরবি লাইপজিগ ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পা রেখেছে। সেল্টিকের বিপক্ষে রিয়াল হারলে বা ড্র করবে তারাই হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। একই গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শাখতার দোনেৎস্ক ও ২ পয়েন্ট নিয়ে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে সেল্টিক।
বুধবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে স্কটিস ক্লাব সেলটিকের জালে গোল উৎসব করে ৫-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মাদ্রিদ। সহজ কিছু গোল মিস না করলে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো তারা। ম্যাচে গোল পেয়েছেন লুকা মদ্রিচ, রদ্রিগো, মার্কো আসেনসিও, ভিনিসিউস জুনিয়র ও ফেদেরিকো ভালভেরদে।
এই ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে মাদ্রিদ। তার ফলও পায় খেলার ৫ মিনিটের মাথায়। আসেনসিওর পাস ধরে দূরের কোণ থেকে রদ্রিগোর নেওয়া শট জো হার্ট আটকানোর পর বক্সেই বল যায় ভালভেরদের কাছে। অনেকটা লাফিয়ে তার নেয়া ভলি জার্মান ডিফেন্ডার মরিৎস ইয়েন্সের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে বল জালবন্দী করেন মদ্রিচ।
এ গোলের ঠিক ৮ মিনিটের মাথায় আরও একটি পেনাল্টি পায় রিয়াল। এবার বক্সের ভেতরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর নেয়া শট ম্যাট ও’রাইলির হাতে লাগলে ভিএআর দেখা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এ স্পট কিক টি করেন রদ্রিগো আর এতে তিনি সফলও হন। এর মধ্যে গোল ব্যবধান কমানোর কয়েক বার চেষ্টা করে সেলটিক তবে তাদেরকে বারবার গোলবারে প্রতিহত করে গেছেন ব্যালন ডি’অরের জরিপে বর্ষসেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হওয়া থিবো কর্তোয়া। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও তারা পরাস্ত করতে পারেননি এ বেলজিয়ান গোলরক্ষককে। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আনচেলত্তির শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দানি কারভাহালের বাড়ানো কাটব্যাক দারুণ দক্ষতায় জালে জড়ান রিয়ালের স্প্যানিস ফরওয়ার্ড আসেনসিও। খেলার ৬১ মিনিটে রিয়ালের হয়ে হালি গোল পূর্ণ করেন ভিনিসিয়াস। ভালভার্দের আড়াআড়ি ক্রস আটকাতে হার্ট হাত বাড়ালেও তার আগেই প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভিনিসিয়াস।
ভিনিসিয়াসের গোলের ঠিক ১০ মিনিট পরই দলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন ভালভার্দে। লুকাস ভাসকেসের দেয়া পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান তিনি। অন্যদিকে গোল ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সেল্টিক। তবে আক্রমণে উঠে তাদের বারবার হার মানতে হচ্ছিল রিয়ালের মহাপ্রাচীর কর্তোয়ার কাছে। অবশেষে তারা প্রথম সাফল্যের দেখা পায় ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোটা ফ্রি কিক থেকে রিয়ালের জাল ভেদ করেন। তবে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে এতটুকুতেই। আর কোনো গোলের দেখা পায়নি মাদ্রিদও। এতে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।