মাঠপর্যায়ের কৃষকদের চাষাবাদে আবহাওয়ার অগ্রিম খবর জানা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাত ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় রেইনগেজ মিটারসহ সব ডিভাইস। এগুলো এখন অকেজো। সব ইউনিয়নেই রেইনগেজ মিটার, সোলার প্যানেল এবং তথ্য বোর্ডের কার্যক্রম নেই।
ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে যে রেইনগেজ মিটার ও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছিল, সেগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দার দেয়ালে লাগানো তথ্য বোর্ডে ধুলাবালির আবরণ পড়েছে। দীর্ঘদিন এগুলোতে কেউ হাত দিয়েছে বলে মনে হয় না।
এ বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে এ ইউনিয়নের রেইনগজে মিটার অকেজো। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কৃষি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আবহাওয়া তথ্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে অ্যানালগ ডিসপ্লে বোর্ড দেওয়া হয়েছিল। এটির পরিবর্তে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হলে কৃষকদের আবহাওয়ার তথ্য দিতে বেশি সুবিধা হবে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক আব্দুল বারী ওরফে কপি বারী বলেন, কৃষকের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে আবহাওয়া তথ্য প্রকল্পের আওতায় ডিসপ্লে বোর্ড ও রেইনগজ মিটার স্থাপন করা হয়েছিল। তবে এটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এ জন্য কৃষকরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাচ্ছে না। এতে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসের ডিভাইসগুলো মেরামত করে দ্রুত চালু করা হলে কৃষকরা উপকৃত হত।
সলিমপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের আবহাওয়ার তথ্য দেওয়ার রেইনগেজ মিটারসহ সব ডিভাইস সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ডিভাইস অকেজো হলেও আমরা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কৃষকদের জানানোর চেষ্টা করি। তা ছাড়া কোনো কৃষক ফোনে আমাদের কাছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানতে চাইলে আমরা তা সংগ্রহ করে জানিয়ে দিই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, কৃষি আবহাওয়া তথ্য উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় ডিসপ্লে বোর্ড ও রেইনগেজ মিটার স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে এগুলো ভালোই ছিল। বর্তমানে সব ইউনিয়নে অকেজো অবস্থায় আছে। তথ্য উন্নতিকরণ প্রকল্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শিগগিরই এগুলো মেরামত করে পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করা হবে।