বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার পথে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহজাহান খানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে মোটরসাইকেলযোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে তেলিখালী এলাকা পার হওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় শাহজাহান খানের সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর ও তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
শাহজাহান খান চিকিৎসা শেষে তার পটুয়াখালী পৌর শহরের সবুজবাগস্থ বাস ভবনে আছেন। এ হামলার জন্য তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে রওনা করলে তেলিখালী বাজারের আগে ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের পথ রোধ করে। তারা বলে আপনারা বরিশাল যেতে পারবেন না। কেন যেতে পারবো না বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মারধর শুরু করে। আমিসহ সঙ্গে থাকা সবাইকে মারধর করে। আমাদের মোটরসাইকেলগুলো তারা ভেঙে ফেলে। পটুয়াখালী ফিরে এসে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় আছি। শরীরটা ভালো না জ্বরে ভুগছি। এভাবে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যায় না।’
শাহজাহান খান আরও বলেন, ‘কষ্ট লাগছে বরিশাল যেতে পারলাম না। তবে হাজার হাজার মানুষ সভাস্থলে অবস্থান করছে। যেকোনোভাবেই হোক বরিশালের সমাবেশ সফল হবে।’
শাহজাহান খানের বড় ছেলে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান বলেন, ‘হামলায় শাহজাহান খানকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক সাইদুল, ইসাহাক ও শাহ আলম নামে অপর দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তবে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। মহাসড়কে আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে।’