কোনো ধরনের আগাম বার্তা ছাড়াই টুইটারের ‘ছদ্মবেশী’ ও ‘ভুয়া’ অ্যাকাউন্টগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। রোববার (৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির মালিক ও গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সম্প্রতি একটি টুইটে ইলন মাস্ক লেখেন, এর আগে কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ব্যবহারকারীকে সতর্ক সংকেত পাঠাতো টুইটার। কিন্তু এখন যেহেতু অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণ চলছে, সেহেতু কাউকে কোনো আগাম বার্তা দেওয়া হবে না ও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
তিনি বলেন, টুইটার ব্লুতে সাইন আপ করার শর্ত হিসেবে অবশ্যই যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এমনকি নিজের নামে সামান্যতম পরিবর্তনও সাময়িকভাবে যাচাইকৃত চিহ্ন (ভেরিফায়েড চেকমার্ক) হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শনিবার অ্যাপেল স্টোরে আপডেট করা হয় টুইটার, যেখানে নীল ভেরিফিকেশন চিহ্ন পেতে হলে ব্যবহারকারীদের গুনতে হচ্ছে আট মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা ৮০০ টাকার সামান্য বেশি (এক ডলার= ১০০.৩২ টাকা)।
টেসলার পাশাপাশি টুইটারেরও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া ইলন গত মাসে বলেন, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে একটি কনটেন্ট মডারেশন কাউন্সিল গঠন করবে টুইটার। ওই কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা কারও অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না।
নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলোর বিষয়ে মাস্ক গত সপ্তাহে বলেছিলেন, অ্যাকাউন্টগুলো সচল করার জন্য যথার্থ প্রক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। এ ধরনের একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে কমপক্ষে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
টুইটারের সবচেয়ে বিখ্যাত নিষিদ্ধ ব্যবহারকারী হলেন- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য ট্রাম্পকে সময়মতো টু্ইটারে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও দেরি হতে পারে।
এর আগে রোববার (৬ নভেম্বর), নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন সেবা ও ভেরিফিকেশন চিহ্ন যুক্ত করার ক্ষেত্রে দেরি করছে টুইটার।
সূত্র: রয়টার্স