সোমবার , ৭ নভেম্বর ২০২২ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

কেনিয়ায় তীব্র খরায় মারা গেছে শত শত বন্যপ্রাণী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ৭, ২০২২ ২:০৪ অপরাহ্ণ

কেনিয়ায় গত কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র খরায় মারা গেছে শত শত বন্যপ্রাণী। জেব্রা, জিরাফ, হাতি, মহিষ- এই দুর্যোগ থেকে রেহাই পায়নি কেউই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কেনিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস ও অন্য সংস্থাগুলো গত নয় মাসে মোট ৫১২টি ওয়াইল্ডবিস্ট, ৩৮১টি সাধারণ জেব্রা, ২০৫টি হাতি, ৫১টি মহিষ, ৪৯টি গ্রেভি’স জ্রেবা ও ১২টি জিরাফের মৃত্যু রেকর্ড করেছে।

jagonews24সাম্বুরু ন্যাশনাল রিজার্ভে পড়ে থাকা একটি ওয়াটারবাকের মরদেহ। ছবি সংগৃহীত

গত দুই বছরে টানা চারটি মৌসুম কেনিয়ার বড় অংশে খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে অথবা মোটেও হয়নি। এতে মানুষের পাশাপাশি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যপ্রাণীরাও।

যেমন- একটি হাতি দিনে প্রায় ২৪০ লিটার পানি পান করে থাকে। কিন্তু খরায় জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তৃষ্ণায় মারা গেছে বহু প্রাণী।

jagonews24রেটেটি অভয়ারণ্যে এক মাস বয়সী হাতির বাচ্চার পাশে বিশ্রাম নিচ্ছেন এক রক্ষক। ছবি সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খরা তৃণভোজী প্রাণী, বিশেষ করে ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বোসেলি, লাইকিপিয়া-সাম্বুরু ও সাভোসহ কেনিয়ার সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষক্ষিত বনাঞ্চলগুলো।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, হর্ন অব আফ্রিকায় টানা চারটি বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়ায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এতে বিপদে পড়েছে অন্তত ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ।

jagonews24বাফেলো স্প্রিংস ন্যাশনাল রিজার্ভে গ্রেভি জেব্রাদের জন্য খড় রাখছেন এক কর্মী। ছবি সংগৃহীত

জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, গত চার দশকের মধ্যে এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী খরা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতেই কেনিয়ার পর্যটন, বন্যপ্রাণী ও ঐতিহ্যমন্ত্রী পেনিনা মালোনজা বলেছেন, প্রাণীদের জীবন বাঁচাতে নতুন কূপ খনন, শুকিয়ে যাওয়া জলাধারগুলোতে পানি সরবরাহসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন, আল-জাজিরা

সর্বশেষ - আইন-আদালত