আজ সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেছেন, এটি কারা করেছেন, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নের উদ্দীপক (সৃজনশীল প্রশ্নের একটি অংশ) হিসেবে এমন বিষয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা খুবই সংবেদনশীল বিষয়। এতে সাম্প্রদায়িক উসকানি রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও লেখালেখি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিষয়কে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন কারা সেটি করেছিল, তা বের করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যমান নিয়মে পাণ্ডুলিপি ছাড়া তা চিহ্নিত করা যায় না।
পাণ্ডুলিপি আছে ট্রেজারি অফিসে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে পাণ্ডুলিপি এনে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারীকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সূত্রমতে, সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনো বক্তব্য যেন প্রশ্নপত্রে না থাকে, সে জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সময়ই লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র দেখার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বোঝা যায় না।
এদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। সেখানে একজন কথাসাহিত্যিককে নিয়ে এমনভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, যাতে তাঁকে হেয় করা হয়েছে, যা মূলত বিদ্বেষপূর্ণ। গতকাল রোববারই এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া একই দিনে অনুষ্ঠিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসির (বিএমটি) একাদশ শ্রেণির বাংলা-১–এর (নতুন ও পুরোনো পাঠ্যসূচি) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর কারণ খুঁজতে গেলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র করা হয়ে গেছে পুরোনো পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে, আর পুরোনো শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র করা হয়েছে নতুন পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। ফলে এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।