বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন বঞ্চিতরা।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের ফেসবুক পেইজে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের ওই আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ সময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে রাত ১০টার দিকে বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এতে সদর ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ সরকার স্বপনের সভাপতিত্ব করেন। আর সঞ্চালনায় ছিলেন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সুজীত কুমার দাস
এ বিষয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ সরকার স্বপন বলেন, বগুড়া ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-মাহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নন। জেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে কখনো অংশ নিতে দেখেননি কেউ। তিনি আদমদীঘি উপজেলার বাসিন্দা। থাকেন ঢাকায়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খানের সঙ্গে সখ্য থাকায় তিনি পদ পেয়েছেন। এ ছাড়া কমিটিতে স্থান পাওয়া আরও কয়েকজনের জেলা কমিটিতে সদস্যপদও ছিল না। পদ পাওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর মামলা ও মাদক সেবনের অভিযোগ আছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ফেসবুকের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এই কমিটিতে অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এমনকি বগুড়ার রাজনীতিতে যারা সম্পৃক্ত ছিল না তাদের নেতা বানানো হয়েছে। আর এই সবই হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার ইশারা ও টাকার মাধ্যমে। তাই আমরা এ কমিটি কোনো ভাবেই মেনে নেবো না।
বিক্ষোভে গাবতলি উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বিপ্লব সরকার, সরকারি শাহ সুলতান কলেজের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাব্বী স্বাধীনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।