পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে কাজ করায় সন্ত্রাস দমনে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন বলেই সন্ত্রাস দমনে আজ আমরা বিশ্বে প্রশংসিত। জনগণের কাছে নির্ভরতা ও আস্থার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে পুলিশ। এটা ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (পুলিশ) সফল হতে পেরেছেন বলেই জলদস্যু, বনদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে।
সভা-সমাবেশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে এতে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আমরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেবো না। কিন্তু কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুলিশের কর্মপরিধি বেড়েছে, বেড়েছে চ্যালেঞ্জ। অপরাধের ধরন ও কৌশলে পরিবর্তন এসেছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান সচিব।
চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এ আস্থার কারণে পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে।
পুলিশপ্রধান বলেন, পুলিশের সেবার মূলকেন্দ্র থানা। থানায় জনগণের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াতে হবে। থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
আইজিপি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
কিশোর অপরাধ সম্পর্কে আইজিপি বলেন, কিশোররা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে, যাতে কিশোর অপরাধের নামে গ্যাং কালচার গড়ে উঠতে না পারে।
সভায় ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান দেশের সার্বিক অপরাধ চিত্র উপস্থাপন করেন।
সিআইডি সম্পর্কে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, পিবিআই বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার এবং অপারেশন সংক্রান্তে ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।