ট্রাম্প আগামী সপ্তাহ নাগাদ আগামী মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর অবস্থান শক্তিশালী করতে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মধ্যবর্তী নির্বাচনে লড়ার জন্য যেসব প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে ভালো ফল আশা করেছিলেন। কিন্তু তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল হয়েছে মিশ্র।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে সিনেটর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জন ফ্যাটারম্যান রিপাবলিকান দলের প্রার্থী মেহমেট ওজকে হারিয়েছেন। গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাট জশ শাপিরো জিতেছেন রিপাবলিকান ডাউগ মাস্তিরানোর বিরুদ্ধে। অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের অনুসারী কারি লেক ও ব্লেক মাস্টার্স ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। তবে ওহাইওতে সিনেটর পদে জিতেছেন রিপাবলিকান জেড ভ্যান্স।
এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের দলের প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের তথ্য সামনে আসার পর থেকেই ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত দেখা যায়। তবে এর আগে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় সন্ধ্যা’। এরপর তিনি রিপাবলিকান সিনেট প্রার্থী ক্যাটি ব্রিটের প্রশংসা করেন। তিনি আলাবামায় সিনেট নির্বাচনে জিতেছেন।
বক্তব্য শেষে তিনি বড় টেবিলের কাছে বসে নির্বাচনের ফল দেখতে শুরু করেন। এরপর তিনি পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এবারের নির্বাচনে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে লাল ঢেউ না ওঠার নানা কারণের কথা বলছেন নির্বাচন প্রচারের সঙ্গে যুক্ত লোকজন। তাঁদের ধারণা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে কিছু রিপাবলিকান প্রার্থীর হারের কারণ হচ্ছে, অতি ডানপন্থী হিসেবে ভোটাররা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে অনেকেই এবারের হতাশাজনক ফলাফলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এনবিসি নিউজকে বলেছেন, এটা রিপাবলিকানদের পক্ষের কোনো ঢেউ নয়। এ বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত।
কিন্তু মার-এ-লাগোতে ঝড় শুরুর আগেই ট্রাম্পের বক্তৃতা শুনে অনেকেই বলরুম ছেড়ে যেতে শুরু করেন। শুধু ট্রাম্প তাঁর পরামর্শকদের নিয়ে নতুন কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাঝরাতের আগে ট্রাম্প আর চেয়ার ছেড়ে ওঠেননি।