বুধবার , ৯ নভেম্বর ২০২২ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

তিন দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ৯, ২০২২ ৫:১৫ অপরাহ্ণ

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ করছে বিএনপি। এর অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে তিনটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। বৈঠকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে দলগুলো।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে মাইনরিটি জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। তিন দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কয়েক বছরে আমাদের অর্থনীতি এতটাই ক্ষতি করেছে যে আজকে যখন একটা সংকট তৈরি হয়েছে তা সামাল দেওয়ার সামর্থ্য সরকারের নেই। ইতোমধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন দুর্ভিক্ষ আসবে। তিনি অর্থনীতি ও জ্বালানি সংকটের কথা বলছেন। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন দিনে বাতি জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সবকিছু আমদানি নির্ভর করাতে আজকে দেশ সত্যিকার অর্থেই একটা বড় সংকটে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের গতি প্রতিদিন বাড়ছে। এটাতে ভীত হয়ে সরকার এখন ফের অগ্নিসন্ত্রাসের বিষয়টি সামনে এনেছে। কিন্তু সত্যি হলো, এ অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ নিজে। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত। বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। কখনোই সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় যাইনি, এখনো যেতে চাই না। বিএনপির প্রত্যেকটি সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু আমাদের দল থেকে কোনো সন্ত্রাস বা উসকানি দেওয়া হয়নি। তারা উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস করছে। অর্থাৎ আমাদের চলমান আন্দোলন আবার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে এটাকে নস্যাৎ করতে এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। কিন্তু সেটা কাজ করবে না।

বিকাল ৪টার মাইনরিটি জনতা পার্টির সঙ্গে শুরু হয় এ সংলাপ। দলটির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের দল সংলাপে অংশ নেয়। আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস, সিনিয়র সহসভাপতি ড. মোহাম্মাদ আবদুল হাই, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যরিস্টার পল­ভ চ্যাটার্জি, ব্যরিস্টার কেয়া সেন, মিঠুন ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এরপর বিকাল প্রায় ৫টার দিকে বাংলাদেশ ন্যাপের সঙ্গে সংলাপে বসে বিএনপি। ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, কেন্দ্রীয় নেতা পরেশ চন্দ্র সরকার, আব্দুল বারিক, নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পৌনে ৫টায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সঙ্গে হয় সংলাপ। দলটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নূরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ উদ্দিন মাহমুদ (জুয়েল), এরশাদ আলী, মেহেবুব মিয়া, আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে অনির্বাচিত সরকার ১৪ বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে। এখনো তারা এমন একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে যাদের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা।

তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। সেজন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। ভোটের পরে আন্দোলনরত দলগুলো নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। সংলাপে অংশ নেওয়া সব দলই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেফতারে ঐকমত্য পোষণ করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজপথে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। আদায় করে নিতে হয়। আওয়ামী লীগ যত সমাবেশ করছে বাস ভাড়া করে লোক জড়ো করছে। টাঙ্গাইল জেলা সম্মেলনে আটশ বাসে নেতাকর্মীদের আনা হয়েছে। সমাবেশে বাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও লোক ঠেকাতে পারছে না।

সিলেটে বিএনপি নেতা হত্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। এটা হয়তো ব্যক্তিগত কারণে হতে পারে। তবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা হওয়ায় অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

 

facebook sharing button

সর্বশেষ - আইন-আদালত