ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশপন্থি বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চলের মধ্যে একটি হচ্ছে দোনেৎস্ক। এই অঞ্চলটি গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনের সেনারা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলের এক ইঞ্চিও রাশিয়ার কাছে ছাড়বে না ইউক্রেনীয় সেনারা।
পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর হলো দোনেৎস্ক। দোনেৎস্কের রুশ সমর্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্যাংক নিয়ে ইউক্রেনের সেনারা পূর্বাঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে।
দোনেৎস্কে সংঘাতের কেন্দ্রস্থলগুলো হলো বাখমুত, সোলেদার ও আভদিভকা শহরের চারপাশ। এসব শহরে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর তীব্র লড়াই হয়েছে দেশ দুটির সেনাদের মধ্যে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, দখলদারদের হামলা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই ডজনখানেক হামলার ঘটনা ঘটছে। তিনি আরও বলেন, ‘রুশ বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ে আমাদের নির্দেশনা একটাই। আমরা আমাদের ভূমির এক ইঞ্চিও ছাড়বো না’।
গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল গণভোটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে রাশিয়া। দোনেৎস্ক এসব অঞ্চলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পাঞ্চল। ২০১৪ সাল থেকে এই অঞ্চলে সংঘাত চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে।
এদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মাইকোলিয়াভের পূর্বে স্নিহুরিভকা শহরে রুশপন্থি মেয়র জানিয়েছেন, বাসিন্দারা ট্যাংক নিয়ে সেনাদের ঘুরতে দেখেছেন এবং ভয়াবহ লড়াই চলছে।
অপরদিকে, খেরসন অঞ্চলে রুশপন্থি প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিল স্ত্রেমাসভ টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী স্নিহুরিভকাসহ তিনটি ফ্রন্টে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিল।
যদিও রয়টার্স যুদ্ধের খবরগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারছে না। তাছাড়া, ইউক্রেন বা রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদিরা লড়াই চালিয়ে আসছে। গত কয়েক বছরে কিয়েভ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে অঞ্চল দুটিতে।
সূত্র: রয়টার্স