সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই সারা দেশের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা ঢুকছেন সমাবেশস্থলে।
নির্দিষ্ট রঙের টিশার্ট আর ক্যাপ পরে সমাবেশে আসতে দেখা যাচ্ছে কর্মীদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতাদের জন্য ৬০ হাজার লাল রঙের টিশার্ট দিয়েছেন সংগঠনটির বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন।
বহুল আলোচিত এ সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা শোভা পাচ্ছে।
যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে নেতাকর্মীদের তল্লাশি করে ঢুকতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান আড়াইটায় শুরু হবে। আগে প্রবেশ করার কারণ নিয়ে নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা এখনই প্রবেশ করব। কারণ কিছুক্ষণ পরে এত মানুষ হবে যে চাইলে এখনকার মতো সহজে ঢুকতে পারব না। জুমার নামাজও প্যান্ডেলে পড়ব।
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির নেতারা। দেশের ৬৪ জেলা থেকে এতে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
এই সমাবেশকে যুবসমাবেশ বলা হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।