সরকারবিরোধী লংমার্চে যোগ দিচ্ছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের দুই ছেলে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পাকিস্তান পিপলস পার্টির পাঞ্জাব শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান মুর্তজা বলেছেন, আমরা আশা করছি ইমরান খানের ছেলেরা তাদের বাবার লাহোর থেকে শুরু করা লংমার্চে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে পাঞ্জাবের রাজধানীতে কাসিম খান এবং সুলাইমান ঈসা খানের আগমনকে স্বাগত জানান পিটিআই নেতা মুর্তজা। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, খানের দুই ছেলেই ওয়াজিরাবাদ থেকে পুনরায় শুরু হওয়া লংমার্চের নেতৃত্ব দেবেন।
মুর্তজা বলেন, লংমার্চে ইমরান খানের ছেলেরা শ্রমিকদের সন্তানদের পাশাপাশি হাঁটতে দেখে আনন্দিত হবে।
প্রথম স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথের ঘরে ইমরান খানের এ দুই ছেলের জন্ম। এ জুটির বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে মায়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যেই বসবাস করেন।
ইমরান খানের ওপর হামলার খবরে তাদের ওপর দিয়ে কেমন ঝড় বয়ে গেছে সেটি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ টিভি উপস্থাপক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছেন, তার ওপর হামলার খবর শোনার পর তার দুই ছেলে ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ হয়ে পড়েছিল।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে পৌঁছেই তিনি তার দুই ছেলে ও সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আহত হলেও তিনি নিরাপদ আছেন এই খবর পাওয়ার পর তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাদেশিক মন্ত্রী মিয়া আসলাম ইকবাল লাহোর বিমানবন্দরে ইমরানের দুই ছেলেকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরে তারা বাবার সঙ্গে দেখা করতে জামান পার্কে ইমরানের বাড়িতে যান।
ইমরান খানের দুই ছেলে সর্বশেষ ২০১৬ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছিলেন ইমরান খান। এর পর গত বৃহস্পতিবার সেই লংমার্চ পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে পৌঁছলে ইমরানের ওপর হামলা হয়। এর পর লংমার্চ থেমে যায়। কিন্তু এ আন্দোলন চালিয়ে নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার ফের শুরু হয় লংমার্চ যাত্রা।
এক সপ্তাহের মাথায় সেখান থেকেই ফের সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছেন তিনি। ইমরান খান ভিডিও ভাষণে বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে লংমার্চ চলবে।