বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানান কথা ছড়ালেও এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার ও ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা এখনো কোনো কনক্রিট তথ্য পাইনি। আমাদের কাজ চলছে। আমরা এ কথা এখনো বলছি না যে, মাদকের কারণে সে খুন হয়েছে বা এক নম্বর আসামি যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে খুন করেছে; এটাও আমরা বলছি না।’
গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ফারদিনের লাশ ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। ফারদিনের সঙ্গে ৪ নভেম্বর রাতে দেখা হয়েছিল তার বন্ধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরার। ৭ নভেম্বর ফারদিনের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন তিনি ডিবির হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির হারুন বলেন, ‘তার (ফারদিনের) বাবা মামলা রুজু করেছেন। সেই মামলার আসামি করা হয়েছে তারই এক ফ্রেন্ডকে (বুশরা)। তাকে আমরা গ্রেফতার করেছি, কিন্তু আমরা এটা বলছি না- তার বাবা যার নামে মামলা করেছে সেই বুশরা এর জন্য দায়ী। যেহেতু মামলায় তার নাম এসেছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’
এদিকে একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে- মাদক কিনতে ডেমরার চনপাড়ায় গিয়ে মাদক কারবারিদের পিটুনিতে ফারদিনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ফারদিনের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের দাবি, ফারদিন কখনো মাদকাসক্ত ছিলেন না।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনই বলি নাই সে চনপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে খুন হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা এখনো বের করতে পারি নাই।’