ফিস ছাড়া ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় মাগুরা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
শনিবার দুপুরে শহরের ল্যাব সিটি ক্লিনিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মাগুরা শহরের কাউন্সিলপাড়া ল্যাবসিটি মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াজেদ আলি জানান, মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন মোল্যা নিজের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে ক্লিনিকে আসলে তাকে সহযোগিতা দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সে জোস্না নামে একটি মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে আসে। তার সিরিয়াল ছিল ৭৪। অথচ ডাক্তারের ভিজিট না দিয়ে এবং সিরিয়াল অগ্রাহ্য করে ইমন জোরপূর্বক মেয়েটিকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ক্লিনিকের দায়িত্বরত কর্মচারীরা বাধা দিলে সে হট্টগোল বাধিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মীমাংসা করে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্লিনিকে হামলা চালায়। দুপুর ১টার দিকে ইমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী দা-কুড়াল নিয়ে হামলা চালালে ক্লিনিকের বিভিন্ন পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তারা কুড়াল দিয়ে ক্লিনিক সংলগ্ন মেডিসিন সেন্টার কুপিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের ১০ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিকে হামলা ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার ক্লিনিক মালিক নিজেকে এমপি পরিবারের ঘনিষ্টজন দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের গলায় ছুরি ধরে। এ বিষয়টি জানতে সিনিয়র নেতারা সেখানে গেলে ক্লিনিক মালিক ওয়াজেদ ছাদে উঠে ছাত্রলীগের ছেলেদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ক্লিনিকটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।