রবিবার , ১৩ নভেম্বর ২০২২ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০ অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ৫০টি শিল্প কারখানা, প্রকল্প ও অন্যান্য অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বেজার আটটি স্থানে ভার্চুয়ালি ৫০টি শিল্প কারখানা, প্রকল্প ও স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘এগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) চারটি বাণিজ্যিক কারখানা এবং বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের আটটি কারখানা। ’

বেজা চেয়ারম্যান বলেন, এই শিল্প কারখানাগুলোতে ইতোমধ্যেই ৯৬৭ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং আরো প্রায় ৩৩১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিযোগ করা হবে।

তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের ২৯টি শিল্প কারখানার ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন- যেগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং আরো ১৯২২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইজেডের যেসব স্থাপনা উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএসএমএসএন-এর প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং পর্যটন পার্ক।

বেজা প্রধান বলেন, পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএমএসএন-এ ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০-কেভিএ গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী একটি পানি শোধানাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এটি দৈনিক ৫০ মিলিয়ন লিটার পানি পরিশোধন করতে সক্ষম।

যে শিল্প কারখানাগুলো উদ্বোধন করা হবে, এগুলোর মধ্যে চারটি কারখানা বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে স্থাপিত। এগুলোর একটি ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডিটেড। এতে প্রিফ্যাব্রিকেটেড স্ট্রাকচারাল স্টিল উৎপাদিত হবে। এই স্টিল বহুতল ভবন, কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত হয়। নিপ্পন অ্যান্ড ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আমদানিকরা স্টিল, পারলিন, স্লিটিং শিট ও কয়েল থেকে এমএস প্লেট উৎপাদন করবে।

এই অর্থনৈকি অঞ্চলে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড রঙ ও ইমালসন (বিভিন্ন তরল পদার্থের মিশ্রিত রাসায়নিক যৌগ) উৎপাদন করবে।

সামুদা কন্সট্রাকশন লিমিটেড চার একর জায়গা জুড়ে তাদের কারখানা নির্মাণ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের বিনিয়োগ ৮.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বেজা শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে- বাংলাদেশের সব পিছিয়ে পড়া ও সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার এখন পর্যন্ত ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২৮টির কাজ চলছে।

এখন পর্যন্ত, ১২টি বেসরকারি মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়পত্র পেয়েছে এবং এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১ কোটি লোকের সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর লক্ষ্য। এছাড়াও এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বছরে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীরা কর অবকাশ এবং শুল্কমুক্ত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা পাবেন।

অর্থনৈতিক অঞ্চলটিগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। গত ২৬ অক্টোবর এগুলো উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে এটি বিলম্বিত হয়।

সর্বশেষ - আইন-আদালত