সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয় পাকিস্তানের। অন্যদিকে দুর্দান্ত খেলে সেমির পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত।
কিন্তু সেমিফাইনালের এক ম্যাচেই দৃশ্যপট পাল্টে গেল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটে ভরাডুবি হয়ে এখন বিশ্বকাপের ফাইনালের দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে রোহিত-কোহলিদের।
ইংল্যান্ডের কাছে এভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর ভারতীয় দল নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে ভারতীয় বোলিংয়ের দুর্বলতাকে সামনে তুলে আনছেন অনেকে।
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, কুড়ি ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের একটি উইকেট শিকারের মতো কোনো বোলার নেই ভারতের? ভারতীয় বোলারদের এই দৈন্যদশা!
এমন প্রশ্নে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম দুষলেন ভারতের ফ্রাঞ্চাইজি প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলকে।
তার মতে আইপিএলে ভারতীয় তরুণ ক্রিকেটারদের যেভাবে অর্থে ডুবিয়ে দেওয়া হয় তাতেই স্কিল হারায় তারা। বড় টুর্নামেন্টে জিততে না পারার কারণ এই আইপিএলই।
এ স্পোর্টসের প্যাভিলিয়ন শোতে ওয়াসিম বলেছেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আইপিএল শুরু হয়েছিল কিন্তু তারপর থেকে তারা আর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তাহলে বলাই যায় যে আইপিএলের ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় প্রভাব পড়েছে। ’
আইপিএলই ভারতীয় তরুণ পেসারদের ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মত এ সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়কের।
ভারতীয় পেসার আভেশ খানের উদাহরণ টেনে ওয়াসিম বলেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে ভারতীয় পেস বোলাররা যারা আসে, যা আমি লক্ষ্য করেছি, তাদের উদাহরণ হিসাবে আভেশ খানের মতো একজন পেস বোলার রয়েছে। সে ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতো, ১৪০এর বেশি গতিতে ধারাবাহিক করতেন, কিন্তু এক মৌসুমের পরে এখন ১৩০-এ নেমে এসেছে। এক মৌসুমেই গতি হারায় তারা। ’
ওয়াসিম আকরাম আরও বলেন, ‘প্রথমে বিসিসিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে কেন এমন হচ্ছে। কারণ তারা প্রায় ১২-১৩ কোটি টাকা পাচ্ছে। আমি টাকা নিয়ে কিছু মনে করি না, তবে আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য ক্যাপ থাকা উচিত। এমনকি আইপিএলে যে নতুন ছেলে আসছে, এর চেয়ে বেশি পাওয়া যাবে না। যাতে সে বুঝতে পারে ক্ষুধা কি জিনিস। ’