রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। ডলারের বিনিময় হারেও অস্থিরতা। কমেছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। সবমিলিয়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দুই হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে ২ শতাংশ সুদসহ এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
তবে এখন ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আগামী দুই বছরের মধ্যে বাকি ৭৫০ মিলিয়ন অর্থ ধাপে ধাপে দেবে বলে আশস্ত করেছে বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। গ্রিড ডিপিসি সিরিজের আওতায় এ ঋণ দেবে সংস্থাটি।
মার্টিন রাইজার রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিখানের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পণ্য আমদানি করতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হবে। এসব প্রভাব মোকাবিলায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে আলাদা উইন্ড খুলে গ্রিড ডিপিসির আওতায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে সংস্থাটি।
এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আওতায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে সংস্থাটি। বাকি ২৫০ মিলিয়ন একই সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে মিলবে।