শনিবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ৪ বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩, ২০২২ ১:৫২ অপরাহ্ণ

পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে এ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবে এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়; যদিও শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের শেষে এসে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর বিষয় হবে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষা সংস্কারের জন্যও নেতিবাচক হবে।

একসময় বাছাই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে হতো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। সেটি বাদ দিয়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। এতে সব শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত; যদিও পিইসি পরীক্ষা নিয়ে ছিল সমালোচনা। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা বিবেচনায় নিয়ে তিন বছর ধরে পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও তা বাস্তবায়ন করা হবে, যেখানে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বছরের একেবারে শেষবেলায় এসে আকস্মিকভাবেই এ বছর সেই পুরোনো ব্যবস্থার মতো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি জানাজানি হয় ১ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক নির্দেশনাপত্র পাঠানোর পর। ওই নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, ২৮ নভেম্বর এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি অব্যাহত থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এ বৃত্তি পরীক্ষা নিতে হবে। প্রতিটি উপজেলা সদরে হবে এ পরীক্ষা। এ জন্য মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ হিসাব করে কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সার্বিক বিবেচনায় এ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী শিক্ষায় পরিবর্তনের যে ধারা তৈরি হচ্ছে, সেখানে হঠাৎ সামষ্টিক পরীক্ষা নেওয়ার প্রচেষ্টা কখনোই ইতিবাচক চর্চা হতে পারে না, বরং ক্ষতির কারণ হতে পারে। শিক্ষার্থীর একাডেমিক ও মানসিক বিকাশের দৃষ্টিকোণ থেকেও যদি দেখা হয়, তাহলেও এভাবে হুট করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীদের ওপর নানামুখী মানসিক ও শারীরিক চাপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বাছাই করে যদি এ ধরনের একটি বৃত্তি কার্যক্রম আবার চালু করা হয়, তাহলে এটি বৈষম্যমূলক হবে। তাই এটি নিয়ে আরেকটু ভাবার অবকাশ রয়েছে। তাঁর পরামর্শ হলো, এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা না করে শিক্ষার্থীরা যেসব কাজ করেছে, যেমন অ্যাসাইনমেন্ট, শ্রেণিভিত্তিক কার্যক্রমের ফলাফল ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে আপাতত মেধাবৃত্তি দেওয়া যেতে পারে।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে