বৃহস্পতিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  1. dating and marrige
  2. Dating Game Rules
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উপ-সম্পাদকীয়
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশগ্রাম
  15. দেশজুড়ে

এত লাফালাফি কেন, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ১২:৪০ অপরাহ্ণ

বিএনপিকে ২০০৮ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের নির্বাচনের ফলাফল স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। ২০০৮ এ নির্বাচন নিয়ে তো কথা হয়নি। জাতীয় আন্তর্জাতিক কেউ তো সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছিল? মাত্র ৩০টা সিট। জাতীয় পার্টি পায় ২৭টা সিট। জাতীয় পার্টি আর কয়েকটা সিট পেলে খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারতেন না। তাহলে এত লাফালাফি কেন? ২০০৮ এর নির্বাচনেই তো এই ফলাফল।

বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। বিএনপিসহ যারাই আগে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের মানুষ নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিত ছিল।

২০০১ পরবর্তী বিএনপি আমলের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কারও চোখ তুলে নিয়েছে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে অনেকের হাড় গুঁড়া গুঁড়া করে দিয়েছে। জেলে নিয়ে গেছে। একেকটা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়েছে। হয়রানির চরম অবস্থা। সারা বাংলাদেশে ঠিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এ দেশে নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে যখন ক্ষমতায় এলো মনে হলো যেন সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই অত্যাচার-গণহত্যারই যেন পুনরাবৃত্তি।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা ভুলে গেছে- ২০০১ এ দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতেই পারত না। সে অঞ্চলে তাণ্ডব করেছিল। গৌরনদী থেকে একটা গ্রুপ কোটালিপাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছিল ৭১ এর মত।

শেখ হাসিনা বলেন, এদের দুঃশাসন চরম পর্যায়ে। আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে যেতে পারতাম না। রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। যুব মহিলা লীগ করার পর সব বাধা অতিক্রম করে আমার এই মেয়েরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। এই মেয়েদেরও কিন্তু ওরা ছাড়েনি! একদিকে পুলিশ বাহিনী, আরেকদিকে ছাত্রদল; বিএনপির গুন্ডা বাহিনী। অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। তারা যে অত্যাচার করেছে, আমরা কিন্তু তার কিছুই তাদের ওপর করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি, দেশের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছি।

এর আগে সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতির সংখ্যাও। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের তাদের নেত্রীদের নামে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

বেলা ১২টা ৫ মিনিটে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

যুব মহিলা লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

সর্বশেষ - সারাদেশ