সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন ফারুকের বিরুদ্ধে করা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করা হয়েছে। যেকোনো দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুকের বিরুদ্ধে করা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিল দুদক।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে ২১ নভেম্বর। শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর শুনানি শেষ করা হয়েছে।
আদালতে এদিন দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসান এস এম আজিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও ফারুকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
মামলার অভিযোগে জানা যায়— ১৯৯৯ সালের ১৩ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে জয়নাল আবেদীন ফারুককে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। পরে একই বছরের ২৬ মে আবারও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। দুবার সম্পদের বিবরণী দাখিল করার নোটিশ দিলেও তিনি তা দাখিল না করায় মামলা করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম মিরপুর থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, পরে ওই বছরের ১ জুন মামলায় ফারুকের পক্ষে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দাখিল করা হয়। রিভিশন শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন ও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের ওপর বুধবার প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।