সকালে শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলররা শহীদ মিনারে ফুল দেন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া নগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, বোধন, প্রমাসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনের চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। এরপর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আখতার প্রমুখ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল আটটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা-সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিসপ্লেতে অংশ নেয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিকেলে নগরের দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরের নন্দনকাননে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলকিতে আয়োজন করা হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। নাটক শেষে বক্তব্য দেন ফুলকি অধ্যক্ষ শীলা মোমেন। হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা। সভায় অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এস এম মোস্তফা।