আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। এমনকি সাংবাদিকরা হত্যার শিকার হচ্ছেন। সব সরকারের আমলেই তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টি কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
বক্তব্য দেন, জুড়ি বোর্ডের সদস্য ড. হাসান অরিন্দম, সংগঠনের সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ মিলন, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, কেএম শহীদুল হক প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও কোষাধ্যক্ষ কবীর আলমগীর।
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ২০০৪ সালে বোমা হামলায় খুলনার মানিক সাহা নিহত হয়েছিলেন। তিনি সাংবাদিক জগতের দৃষ্টান্ত। সত্য প্রকাশের জন্য তিনি বাধা পেয়েও আপসহীন ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমন ১৫-২০ জন সাংবাদিককে শুধু একটি সরকারের আমলে জীবন দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি আধুনিক, সভ্য এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেকটি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তার মধ্যে সাংবাদিকতা একটি। এর মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের খবর আমরা জানতে পারি।
রাজশাহী সিটির মেয়র বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখনই বিদেশ সফর থেকে আসেন, তার পরই সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেন। খুব কম দেশের প্রধানমন্ত্রী আছেন, যারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, ‘যারা সাংবাদিকতা করতে আসেন, তারা মনে করেন তারা সাংবাদিক হয়ে সমাজ-দেশের জন্য কাজ করবেন। শোষিত-নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবে। আসলে কি তাদের স্বাধীনতা আছে? পরাধীনতার বেদনা তাদের আছে।’
অনুষ্ঠানে মোট ছয় ক্যাটাগরিতে ৫০ জনকে বিশেষ সম্মানা দেওয়া হয়। কবিতা ক্যাটাগরিতে ২০ জন লেখকের মধ্যে আটজন বিশেষ সম্মাননা পান। ইতিহাস/গবেষণা ক্যাটাগরিতে ২১ জন লেখকের মধ্যে ১১ জন বিশেষ সম্মাননা পান।
গল্প/উপন্যাস ক্যাটাগরিতে ৩০ জন লেখকের মধ্যে ১৮ জন বিশেষ সম্মাননা। অনুবাদ ক্যাটাগরিতে ৪ জন লেখকের মধ্যে ৩ জন। শিশুসাহিত্য ক্যাটাগরিতে ১২ জন লেখকের মধ্যে পাঁচজন বিশেষ সম্মাননা। ভ্রমণ/বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে আটজন লেখকের মধ্যে চারজন বিশেষ সম্মাননা পান।
বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন-কবিতায় অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, আব্দুর রহমান মলিক, মু আ কুদ্দুস, মোহসিন হোসাইন, চৌধুরী ফেরদৌস, দীপক ভৌমিক।
গল্প/উপন্যাসে-শান্তনু চৌধুরী, ইমন চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল আহমেদ টিপু, রনি রেজা, সাবিরা ইসলাম, আবুল হোসেন খোকন, তানভীর আলাদীন, হোসন শহীদ মজনু, ইব্রাহীম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ।
ইতিহাস গবেষণায়-কাজী আলিম উজ জামান, দীপংকর গৌতম, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, মোহাম্মদ নূরুল হক, অঞ্জন আচার্য, কায়কোবাদ মিলন, আহমেদ মতিউর রহমান, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, রীতা ভৌমিক, জাকির আবু জাফর ও শরীফ আব্দুল গোফরান।
শিশুসাহিত্যে-মনসুর হেলাল, আশিক মুস্তাফা, অদ্বৈত মারুত, মামুন রশিদ। অনুবাদে-প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মলয় পাঁড়ে।