৪২ গ্রাহকের পক্ষে করা পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক রুলসহ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গেটওয়ে এবং অন্য উৎসে ৪২ গ্রাহকের আটকে থাকা ওই টাকা ফেরত চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট থেকে জানা যায়, দালাল প্লাস থেকে বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার করে ২০২১ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪২ গ্রাহক ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮০ টাকা পরিশোধ করেন ওই ৪২ গ্রাহক। ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য কিনতে ২০২১ সালে বিভিন্ন অর্ডারের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৪ টাকা পরিশোধ করেন তাঁরা। তবে টাকা পরিশোধ করলেও তাঁরা পণ্য পাননি। এ অবস্থায় পরিশোধ করা ওই অর্থ ফেরত দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ৪২ গ্রাহকের পক্ষে আল আমিন গত ২১ নভেম্বর বাণিজ্যসচিব বরাবর পৃথক আবেদন করেন। এতে ফল না পেয়ে ৪২ গ্রাহকের পক্ষে হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন তিনি।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম আলী পাঠান ও রফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে পরে আইনজীবী সায়েম আলী পাঠান প্রথম আলোকে বলেন, ই-অরেঞ্জ এবং দালাল প্লাস থেকে পণ্যের জন্য পরিশোধ করা অর্থ ফেরত দিতে পদক্ষেপ নিতে গত ২১ নভেম্বর বাণিজ্যসচিব বরাবর ৪২ গ্রাহকের পক্ষে পৃথক আবেদন করা হয়। পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পৃথক আদেশ দেন। হাইকোর্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে পৃথকভাবে দেওয়া রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
