রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরের তিয়ানজিনে অবস্থিত নানকাই হাসপাতাল। গত বুধবার ওই হাসপাতালে গিয়ে এএফপির সাংবাদিক দেখেন, ২৪ জনের বেশি অত্যন্ত বয়স্ক রোগী সেখানকার জরুরি বিভাগে চার চাকার স্ট্রেচারে শুয়ে আছেন।
এসব রোগীর অধিকাংশের হাতেই স্যালাইন পুশ দেওয়া। কিছু রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। কয়েকজনকে অচেতন মনে হয়েছিল; পুরোপুরি সাড়া দিচ্ছিলেন না। একজন চিকিৎসক বললেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা সবাই কোভিডে আক্রান্ত।’
একজন রোগীর অভিভাবককে আরেক চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, সমস্যা হলো, এই মুহূর্তে আর কোনো শয্যা ফাঁকা নেই।
গত সপ্তাহে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) বলেছে, এখন থেকে তারা আর কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর হিসাব প্রকাশ করবে না। এ ছাড়া কোভিডে মৃত্যু পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার চীনের সিদ্ধান্তে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক কমিয়ে দেখানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিয়ানজিনের এক চিকিৎসক বলেন, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তাঁর জরুরি কক্ষ অনেক বেশি ব্যস্ত। করোনায় আক্রান্ত হলেও কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে ‘অনেকটাই ধারণা করছেন’ স্বাস্থ্যকর্মীরা।