রবিবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

আ.লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিএনপির দিবাস্বপ্ন: ওবায়দুল কাদের

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ ৩:২৬ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিএনপির দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সৈয়দপুর ফাইভ স্টার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ১৪ বছর আগের প্রতিটি জনপদই বদলেছে। দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। বদলেছে মানুষের জীবনমান। উত্তর জনপদের মঙ্গা এখন জাদুঘরে চলে গেছে। উত্তরাঞ্চলে এখন ৬ লেনের সড়ক হচ্ছে। বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এখন ১৪টি ফ্লাইট ওঠানামা করছে। কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু আজ বিশ্বের কাছে উন্নত শিরে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।

তিনি বলেন, সন্তানের পরিচয়পত্রে বাবার পাশে মায়ের নাম লিপিবদ্ধ ব্যবস্থা করে আজ নারীদের বিরল সম্মানে সম্মানিত স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সব সময় নারীদের কথা ভাবেন। তাই উপবৃত্তিসহ নানা ধরনের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। মহামারি করোনায় খাদ্য ও ভ্যাক্সিন সহায়তা দিয়েছেন। বিএনপি এ সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে অন্তরজ্বালায় ভুগছে। তারা আন্দোলনের নামে রংপুরে টাকার বস্তা নিয়ে বসেছিল। ১০ ডিসেম্বর দিয়েছিল আলটিমেটাম। সেখানে ঘোড়ার ডিম পেয়েছে।

এ সময় ‘খেলা হবে’ স্লোগানে মুখরিত হয় প্রাঙ্গণ। তিনি বলেন, খেলা হবে জাতীর পিতার হত্যাকারীদের যারা পুরস্কৃত করেছে তাদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে যারা জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ২১ আগস্ট যারা গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতি, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আগুন জালিয়ে যারা মায়ের বুক খালি করেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এ খেলা হবে আগামী বছর জানুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে। একবার হবে ফাইনাল খেলা।

আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, যে বিপদে-আপদে জনগণের পাশে থাকে না সে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না, হতে পারে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। শেখ হাসিনা মানুষকে আঁধার থেকে আলোর পথে এনেছেন। কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা এ জনপদে সূর্যোদয় সেই কথাই বলছে। নিজে কখনো রাষ্ট্রপতি হবেন না বলেও জানান কাদের।

স্থানীয় নেতারা এ আসনটি উন্মুক্ত দাবি করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি বোর্ড আছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আদর্শিক কারণে এখন আমাদের সঙ্গে নেই, তবে জোট থাকবে।

দেশে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে গোটা বিশ্বে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে সাইবেরিয়ার অতিথি পাখি। শীতে ওই পাখিরা এখানে এসে খেয়ে ফিরে যায়। তেমনি সারা বছর তাদের খবর নেই। তারা মানুষের পাশে নেই। মানুষ শীতে মারা যাচ্ছে, অথচ তারা একটি কম্বলও বিতরণ করেনি।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাবলম্বী হয়ে ৬০তম থেকে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. হোসনে আরা ডালিয়া, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার, আওয়ামী লীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক  ডা. রোকেয়া সুলতানা, হোসনে আরা ডালিয়া প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- নীলফামারীর নারী এমপি রাবেয়া আলিম, সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক, পৌর সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বাবুসহ রংপুর বিভাগের ৯টি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।

সভা শেষে সৈয়দপুর উপজেলার শীতার্তদের মাঝে ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়। পরে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের হাতে নিজ নিজ এলাকার জন্য ২৭ হাজার কম্বল প্রদান করা হয়।

 

সর্বশেষ - দেশজুড়ে