টুইটারে ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, পশুপাখি, সামুদ্রিক প্রাণীরা প্রতিটি দুর্যোগের আগে আঁচ করতে পারে। মানবজাতি তাদের আঁচ করার সক্ষমতা হারিয়েছে।
অবশ্য আরেক টুইটার ব্যবহারকারী বিপরীত মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ওরা (পাখিরা) ওড়াওড়ি করার পর একটি গাছের ওপর গিয়ে বসেছে। আমার আশপাশের এলাকায় কাকেরা প্রতিদিনই এ কাজ করে।’
পশুপাখিরা কি ভূমিকম্পের আভাস দিতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে প্রাণীদের উদ্ভট আচরণ করার ধারণাটি অনেক পুরোনো। খ্রিস্টপূর্ব ৩৭৩-এ গ্রিসে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কয়েক দিন আগে ইঁদুর, বেজী, সাপের মতো প্রাণীরা এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশুপাখিরা বিভিন্নভাবে ভূমিকম্পের আভাস পেতে পারে। কিছু প্রাণী ভূমিকম্পের আগে মাটিতে তড়িৎচুম্বকীয় পরিবর্তন বুঝতে পারে। কেউ কেউ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ভূমিকম্পের আগে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন হতে পারে।
যেসব প্রাণী মাটির কাছাকাছি বসবাস করে তারা ভূমিকম্প হওয়ার আগে মাটির গতিবিধি অনুভব করতে পারে। মানুষ ভূমিকম্প টের পাওয়ার আগেই মৃদু ধরনের কম্পন হয় যেটা শুধু কুকুরের মতো কিছু প্রাণী বুঝতে পারে।
তবে ইউএসজিএস বলছে, পশুপাখিরা আসলেই ভূমিকম্পের আভাস দিতে পারে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।