বৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

আইনজীবীদের বর্জনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আরও ৭ আসামির জামিন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ ১২:২৬ অপরাহ্ণ

ওই মামলার বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জুই আক্তার। গত বছরের ৪ আগস্ট স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ একই পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন। আসামিরা সবাই নেত্রকোনার বাসিন্দা। এই মামলার প্রধান আসামি (বাদীর স্বামী) পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে কোনো আইনজীবী ছাড়াই জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

একই আদালতে যৌন নির্যাতন মামলার এক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। ওই আসামি গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলহাজতে আটক ছিলেন। মামলার আসামিকে পুলিশ বেলা সোয়া ১১টার দিকে আদালতে হাজির করলে আদালত কোনো আইনজীবী ছাড়াই জামিন মঞ্জুর করেন।

এ প্রসঙ্গে বিচারকাজে জড়িত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জামিনের যৌক্তিক কারণ থাকলে আইনজীবী বা বাদীর অনুপস্থিতিতেও আসামিকে জামিন দেওয়া যেতে পারে।

আইনজীবী ও বাদীর অনুপস্থিতিতে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিচারক মোহাম্মদ ফারুক যা করছেন, তা ন্যায়বিচার পরিপন্থী। বাদীর কথা না শুনে তিনি এভাবে জামিন দিতে পারেন না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অচলাবস্থার কারণে ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে ১ হাজার ৩৯৭টি মামলার তারিখ পিছিয়েছে। কর্মবিরতির কারণে কোনো আইনজীবী আদালতে না গেলেও হাজতি আসামি, মামলার বাদী, বিবাদী ও সাক্ষী, জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে প্রতিদিনই সাত থেকে আটজন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে যাচ্ছেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁরা নিজেরাই আদালতের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ শিশুসহ ১৯ জনকে এই আদালত জামিন দিয়েছেন। একই সময়ের মধ্যে ২০টি মামলার নিষ্পত্তি (অব্যাহতি) করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। নতুন করে মামলা এসেছে চারটি।

জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (তথ্য) মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ২৮ জন বিচারক রয়েছেন। এর মধ্যে পেশাগত কাজে (প্রশিক্ষণ) পাঁচজন অনুপস্থিত রয়েছেন। বাকি বিচারকেরা আজও সকাল ১০টার পর থেকে তাঁদের এজলাসে ওঠেন। আইনজীবীরা আদালতে না থাকায় বিচারকেরা আদালত থেকে নেমে যান। তবে শুধু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে আজ দুটি মামলায় সাতজন জামিন পেয়েছেন। এ সময় কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে