ত্রিপুরা প্রতিনিধি
উৎসবের আমেজে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হলো ত্রিপুরায়। ভোট দিতে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি চোখ পড়ে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বহু কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
এদিন নির্দিষ্ট সময়সীমা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮১ দশমিক এক শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, ৪টার পরে দেওয়া ভোট ও ইভিএম-ব্যালট পেপার মেলালে ভোট পড়ার হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, এদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা লাইনে দাঁড়ান তাদের প্রত্যেককেই ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে কিছু কেন্দ্রে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটদান চলতে থাকে। বেশিরভাগ ভোটারই খোশ মেজাজে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন বলে জানা যায়।
সকাল ৮টায় বড়দোয়ালি ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট দেন বিজেপি প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। এর পরপরই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। চরিলামে নিজের ভোট দেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা।
এবারের নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থির খবর পাওয়া যায়নি। জানা যায়, রাজধানী আগরতলার সাত রামনগর ও মজলিশপুর, গোলাঘাঁটি ও ধনপুর নির্বাচন কেন্দ্রে সরকারদলীয় কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ধনপুর কেন্দ্রের ভোটাররা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।
এদিকে, নির্বাচন ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বেশকিছু অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের মারপিটের অভিযোগও ওঠে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের দাবি, এক্ষেত্রে পুলিশ কিংবা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকা ছিল না। অনেকের অভিযোগ, কাকুতি-মিনতি করেও নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য মেলেনি।
এদিকে, রাতে ভোটদান সম্পন্ন হওয়ার পরপরই কেন্দ্রগুলো থেকে সব ইভিএম বিভিন্ন মহকুমা সদরের স্ট্রংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। যতদূর জানা গেছে তাতে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সেগুলো স্ট্রংরুমে। সেদিন সকাল থেকেই শুরু হবে ভোট গণনার কাজ।