ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৪৫, প্রতীক ‘সোনালি আশঁ’।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম সই করা এক প্রজ্ঞাপনে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার কথা বলা হয়।
উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টিও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৯৪২/২০১৮ এর বিগত ৬/১১/২০১৮ তারিখের রায় ও আদেশ এবং আপিল বিভাগে দায়ের করা সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ৩০২৪ অব ২০১৯ উইথ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ৩০২৩ অব ২০১৯ এর ওপর আপিল বিভাগ রায় দেন। ওই রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ- এর বিধান অনুযায়ী তৃণমূল বিএনপিকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলটির প্রধান কার্যালয় ৩৩ তোপখানা রোড, ১৫/সি মেহেরবা প্লাজা (১১ তলা), পল্টন ঢাকা-১০০০ এ অবস্থিত। দলটির জন্য সোনালি আঁশ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নিবন্ধন নং-০৪৫, তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।’
সাবেক প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দলটিতে যুক্ত হন। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। মাঝে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন এই নেতা।
২০১২ সালে আবার বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। পরে সেই দল থেকে তাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে আওয়ামী লীগের জোটে ভেড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল গঠন করেন, যা এখন নিবন্ধন পেলো।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষাপটে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে ইসি। শিগগির তাদের অনুকূলে নিবন্ধন দেওয়া হবে।