চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশর অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। এজন্য বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলতে তারা নাশকতা, অরাজকতার জাল বুনছেন। এ জাল অবশ্যই ছিন্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে। বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়নেরও বেশি। তিনমাসের রিজার্ভ নিশ্চিত থাকলে কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের এখন যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ছয়মাসের বেশি চালানো সম্ভব।’
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের অরাজকতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় এ শান্তি সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি মুখে বলে তারা গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। অথচ তারা এর বিপরীত। তাদের দলের জন্মই বন্দুকের নলের মাধ্যমে। অবৈধ ক্ষমতা দখলের পর তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিল। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া একটি দল কীভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করাই ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ। এর বাইরে অন্য কোনো বিকল্প নেই। এ সত্য বিএনপি নেতারা বুঝেও অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার পথে এগোচ্ছেন। তারা অতীতে আগুনসন্ত্রাস করে সম্পদ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করেছেন। এমনকি শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। তারপরও ক্ষমতায় যেতে পারেননি।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আ জ ম নাছির বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো। জনগণের জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থাকবো। জনগণের আস্থা ও ভরসা অর্জনে বিগত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে কী কী দিয়েছেন, তার বিবরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ বাঙালির একটি খারাপ দিক হলো তারা বিস্মৃতিশীল। সহজেই সবকিছু ভুলে যান।’
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, বাবু জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ।