হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে দেখতে পাই, আমাদের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন। তাঁদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বাংলা ভাষা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকও বিএনপি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের এখন লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় রূপ দেওয়া। যারা ভাষার বিকৃতি করছে, সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে ইসলামীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা আমাদের ভাষার ওপর হিংস্র থাবা দিয়ে ভাষাকে বদলে দিতে চেয়েছিল, তাদের পৃষ্ঠপোষকও বিএনপি।’
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বাংলা ভাষার কদর আমরা বুঝতে পেরেছি দেশ স্বাধীনের সময়। যখন এখান থেকে এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর জীবন দেওয়া বিরল ও আশ্চর্যের বিষয়। এ জন্য তিনি ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের ভাষা, খাবার, পোশাক একই। এপার বাংলার কবিতার সঙ্গে ওপার বাংলার কবিতারও তফাত নেই। একই আবেগ। এটাই বাংলা ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক সম্পর্কের বাইরে মানুষের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক তৈরি হয়, সেটা বেশি টেকসই হয়। যেটি দুই বাংলার মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। দুই দেশের সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
দুই দিনের সাহিত্য উৎসব শেষ হবে আগামীকাল। উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের কবিরা অংশ নিচ্ছেন।