শনিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

প্রতিবন্ধী ৪ ভাইবোনের মানবেতর জীবনযাপন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

জীর্ণ কুটির। মা-বাবা কেউই বেঁচে নেই। পরিবারে সদস্য সংখ্যা এখন চার। সকলেই জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। কারো নেই শ্রবণ শক্তি। কেউ দৃষ্টিহীন। কেউবা বহুবিধ প্রতিবন্ধী। বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও, নিজ নিজ প্রয়োজন মেটাতে অক্ষম তারা। কে করবেন কার দেখভাল? এর মধ্যে অভাব-অনটন সঙ্গী নিত্যদিনের। এ অবস্থায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক পরিবারের প্রতিবন্ধী চার ভাইবোন।

তারা উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের পাঠানেরগাঁও (তালুজগত) গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের মৃত মন্টাই মিয়ার সন্তান প্রতিবন্ধী চার ভাই-বোন। তাদের মধ্যে রুবিনা বেগম (৩০) শ্রবণ প্রতিবন্ধী, মিনারা বেগম (২৬) ও রুকশানা বেগম (২০) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং তাদের একমাত্র ভাই লিলু মিয়া (২৪) বহুবিধ প্রতিবন্ধী।

জানা যায়, মেয়ে রুকশানা জন্মের দুই বছর পর মারা যান মন্টাই মিয়া। এরপর ‘নুন আনতে পান্তা পুরায়’-সংসারের হাল ধরেন তার স্ত্রী ফুলতেরা বেগম। চেয়ে-চিত্তে বিয়েও দেন বড় মেয়ে। এর কয়েক মাস পরেই তিনি পাড়ি জমান পরপারে। পরে প্রতিবেশীরা বিয়ে দেন ২য় মেয়ে রুবিনাকে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসার টেকেনি বেশিদিন। ফিরে এসে রুবিনা নেন সবার দায়িত্ব। সেই থেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মিনারা বেগম জানান, মা-বাবা গত হবার পর আমরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়ি। বর্তমানে একমাত্র ভাইটিকে নিয়ে ভাঙা ঘরে খেয়ে না খেয়ে পড়ে আছি। আমরা তিন ভাই-বোন সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। কিন্তু ভাতার টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাই আমরা।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, ওই পরিবারের তিন সদস্য প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। অবশিষ্ট জনকেও ভাতার আওতায় আনা যায় কি না দেখছি।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি পীড়াদায়ক। সমাজ সেবা অফিসের সাথে কথা বলে তাদের জন্যে অর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে