বুধবার , ১ মার্চ ২০২৩ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মিয়ানমার হত্যাযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও সামরিক জেটের জ্বালানি পাচ্ছে জান্তা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ১, ২০২৩ ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও এশিয়া ও ইউরোপের কিছু কোম্পানি থেকে অব্যাহতভাবে সামরিক জেটের জ্বালানি পাচ্ছে জান্তা সরকার। ফলে দেশটির সামরিকবাহিনী বিরোধীদের লক্ষ্য করে আকাশপথে অভিযান চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। এতে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হচ্ছে। তাছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। খবর আল-জাজিরার।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, গ্লোবাল উইটনেস ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে জানিয়েছে, তারা জ্বালানি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত আরও সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে। গত বছর বিমান চলাচলের জ্বালানি সরবরাহ চেইনের তদন্তের পরে দেখা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য সরবরাহ জ্বালানি সামরিক বাহিনীতে পাঠানো হচ্ছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক ও ব্যবসা-মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা মন্টসে ফেরার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা প্লেনের জ্বালানির নতুন চালান খুঁজে পেয়েছি, যা সম্ভবত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছেছে। এই বাহিনীটি অবৈধভাবে বিমানহামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সমালোচকদের কঠোর হাতে দমন করছে জান্তা সরকার। তাছাড়া ভূমি ও আকাশ পথে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করছে। জেটের জ্বালানি সরবরাহ করার কারণেই তারা এই ধররেন অপরাধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।

দুই বছর আগে নির্বাচিত সরকারকে বিতাড়িত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেন দেশটির সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। এরই পরই দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বছর সামরিক বাহিনীটি ৬৭০টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১২ গুণ বেশি। এ সময় হামলা থেকে শিশুরাও রেহাই পায়নি।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে