স্থানীয় সূত্র জানায়, কারাগার থেকে গম নিয়ে ট্রাকটি বিকেলে মোহনপুরে যায়। সেখানে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানে ট্রাক থেকে পাঁচ বস্তা মাল নামানো হয়। এরপর আবুল হোসেন নামের আরেকজন ব্যবসায়ীর দোকানে মাল নামানোর কথা ছিল। পুলিশ ওই দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মালগুলো থানায় পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।
বিকেল পৌনে ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মালগুলো পুলিশের হেফাজতে ছিল। তখন পর্যন্ত মালামালের কোনো বৈধ মালিক পায়নি পুলিশ।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশা বলেন, সব বস্তায় যে গম আছে, এটা তাঁরা নিশ্চিত নন। মালামালের কোনো বৈধ মালিক এখন পর্যন্ত থানায় আসেননি। কারাগারের কোনো সিলও বস্তার গায়ে নেই। শুধু গাড়িচালক হাসেন আলী স্বীকার করেছেন, তিনি মালগুলো রাজশাহী কারাগার থেকে এনেছেন। তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই। বৈধ মালিক পেলেই তাঁকে মাল দিয়ে দেবেন। তা ছাড়া আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের উদ্বৃত্ত রেশন তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই রেশন ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিল। তাঁরা যাওয়ার সময় প্রত্যয়নপত্র নেননি। চাইলে তাঁরা প্রত্যয়নপত্র পাঠিয়ে দেবেন। এটা কারাবন্দীদের খাদ্য হতে পারে বলে পুলিশ আটক করেছে শুনে তিনি বলেন, এটা কোনোভাবেই করার সুযোগ নেই।