বুধবার , ১৫ মার্চ ২০২৩ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ব্রিটেনে যে কারণে চাকরি ছাড়ছেন মায়েরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ১৫, ২০২৩ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

চাইল্ড কেয়ারের বর্ধিত খরচের চাপে বেহাল দশায় যুক্তরাজ্যের অভিভাবকরা। কাজ ছেড়ে দিতে অথবা কাজের সময় কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখে পড়েছেন মায়েরা। সন্তান সামলাতে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হচ্ছে অনেককেই। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ৩৮ দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যেই চাইল্ড কেয়ার হোমের খরচ সবচেয়ে বেশি। পরিবারের আয়ের এক-তৃতীয়াংশই (২৯ শতাংশ) ব্যয় হয় এর পেছনে। সে তুলনায় ফ্রান্সে এ ব্যয় মাত্র নয় শতাংশ।

ফ্যামিলি অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ট্রাস্ট চ্যারিটির মতে, ব্রিটেনে দুই বছরের কম বয়সি শিশুর জন্য গড়ে নার্সারি বিল সপ্তাহে ২৮৫ পাউন্ড অথবা এরকিছু বেশি।

এই বাড়তি খরচ কুলিয়ে উঠতে না পেরে ত্যাগ স্বীকার করছেন দেশটির বেশিরভাগ নারী। পূর্ব লন্ডনের এসেক্সের ব্রেন্টউডের নাগরিক নাটালি ফোর্ড (৩৯) বলেন, তিনি ও তার স্বামী তাদের ১৯ মাস বয়সি ছেলের জন্য সপ্তাহের কয়েক দিনে চাইল্ড কেয়ারে ৯০০ পাউন্ডের বেশি অর্থ প্রদান করেন।

তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখানে সময় কমিয়ে আনা এবং বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করায় তার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

অভিনেত্রী লুসি মিলনেস (৪০) বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় দুই বছর আগে তার দ্বিতীয় ছেলের জন্মের পর থেকে খুব কমই কাজ করেছেন। তিনি ও তার স্বামী তাদের ছেলেকে প্রতিষ্ঠান দ্বারা ন্যূনতম গৃহীত সপ্তাহে শুধু তিনদিন সকালে ডে কেয়ারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

একটি প্রচারাভিযান গ্রুপ প্রেগন্যান্ট দ্য স্ক্রুডের জোলি ব্রেয়ারলি বলেন, চলতি দশকে প্রথমবারের মতো সন্তান লালনপালনের জন্য কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নারীদের।

গত বছরের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্তত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য কাজ না করা নারীর সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি নারীর জন্য এ সংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ। পরিবারের দেখাশোনা করতে গিয়ে বেকার থাকা নারীর সংখ্যা ২৮.৫ শতাংশ।

শিশুর বয়স তিন বছর না হওয়া পর্যন্ত অর্থায়নের সাহায্য পায় না অনেকে। এছাড়া রাজ্যের সরকার সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টা শিশু যত্মের জন্য নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য দ্বিগুণ অর্থ প্রদান করে। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ বাড়তে থাকায় কিন্তু নার্সারিগুলোতে অর্থ প্রদান করা হলেও সংকট নিরসন হয় না।

তবে পরিবার বিশেষ করে নারীর ওপর চাপ কমাতে এই সপ্তাহেই সরকারের বাজেটে বর্ধিত কেয়ার তহবিল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 

সর্বশেষ - দেশজুড়ে