বৃহস্পতিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনে মায়া সান্তোসের আপিল খারিজ, সাজা বহাল

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ২০, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি সংক্রান্ত একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর আপিল খারিজ হয়ে গেছে। ফিলিপাইনের আপিল আদালত তার সাজা বহাল রেখেছেন। খবর সিএনএন ফিলিপাইনের।

গত বুধবার প্রকাশিত ৫৮ পৃষ্ঠার রায়ে মায়া সান্তোসের সাজা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল আদালত।

আপিলে মায়া সান্তোস বলেছিলেন, বিচারিক আদালত তাকে যে শাস্তি দিয়েছিলেন, সেই রায় দেওয়া হয়েছিল তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে। এছাড়া সে লেনদেন অবৈধ জেনেও তিনি তা হতে দিয়েছেন- এই কথা ‘অনুমান’ প্রসূত বলেও আপিলে আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন মায়া। কিন্তু ফিলিপাইনের আপিল আদালত মায়া সান্তোসের দাবি খারিজ করে বলেন, মায়া সান্তোস আরসিবিসির নিছক কর্মী ছিলেন না। তিনি যে হিসাব খুলেছিলেন, তার কারণেই পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছিল।

বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, মায়া দেগুইতো এই অবৈধ ব্যাংক লেনদেন সহজে বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফিলিপাইনের আদালত সাবেক ওই ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আটটি অভিযোগের সবটিতে দোষী সাব্যস্ত করেন। এবার আপিল আদালতও তা বহাল রাখলেন।

আটটি অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। পরে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের মাকাতি শাখার মাধ্যমে তা ক্যাসিনো ও বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যায়। অর্থ পাচারের এ ঘটনায় আরসিবিসির মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের বড় অংশটি ফিলিপাইন গেলেও বাকি দুই কোটি ডলার যায় শ্রীলংকায়। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া অর্থের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

 

সর্বশেষ - দেশজুড়ে